আগামী মা’র্চ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফসিল ঘো’ষণা করবে কমি’শন। ইসির ক’র্মকর্তারা বলছেন, বিগত সময়ে ছয় ধাপে ইউপি নির্বাচন হলেও এবারে নয়-দশ ধাপে এ নির্বাচন শেষ করার চিন্তা করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী সব প্র’স্তুতি নিতে নির্দে’শনা দিয়েছে কমি’শন।
এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমি’শনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, আগামী মা’র্চের ২১ তারিখে বেশকিছু ইউপির মেয়াদ শেষ হবে। তাই এর ৪৫ দিন আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘো’ষণার চিন্তা করা হচ্ছে। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যালট ও ইভিএমে দুই পদ্ধতিতেই ভোট গ্রহণ হবে।
ইসির ক’র্মকর্তারা বলছেন, প্রথম ধাপের ভোট মা’র্চের মাঝামাঝি হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট মা’র্চের শেষে এবং এপ্রিলে তৃতীয় ধাপের ভোট হতে পারে। এ জন্য ফেব্রুয়ারির শুরুতে তফসিল ঘো’ষণা করবে কমি’শন। এবার দলীয় প্রতীকে ব্যালট পেপারের পাশাপাশি উপজে’লা সদরের ইউপিগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প’রিকল্পনাও রয়েছে।
আ’ইন অনুযায়ী আগামী ২১ মা’র্চের মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন ক’রতে হবে কমি’শনকে। ইসির ক’র্মকর্তারা জা’নিয়েছেন, স্থা’নীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আ’ইনে পরিষদের মেয়াদের বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘কোনো পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, …সংশ্লি’ষ্ট পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হতে পাঁচ বছর সময়ের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।’
পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ আ’ইনে উল্লেখ রয়েছে- ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত, যা আগে ঘটবে, সংশ্লি’ষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষ’মতা দিতে পারে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মোট ছয় ধাপে ৪ হাজার ২৭৯টি ইউনিয়নে ভোটের আয়োজন করে কমি’শন। প্রথম ধাপে ৭৫২টি ইউপির ভোট হয় ২২ মা’র্চ। এরপর ৩১ মা’র্চ ৭১০টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হয়। তবে এবার ইউপি সংখ্যাও কিছু বেড়েছে। ইসি সংশ্লি’ষ্টরা বলছেন, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। তবে ২০০ ইউপিতে মা’মলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আ’টকে আছে।
এ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ও কিছু ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ায় ৪ হাজার ১০০ ইউপিতে ধাপে ধাপে ক’রতে হবে। ইসির ক’র্মকর্তারা জা’নিয়েছেন, স্থা’নীয় সরকারের সবচেয়ে গু’রুত্ব পূর্ণ এ নির্বাচনের প্র’স্তুতি শুরু করেছে কমি’শন। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দেওয়া শুরু হবে। নির্বাচন চলবে বছরজুড়েই। গতবারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়।